গোপালভোগ আম — বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও অগ্রগামী জাতের আম, যা এর মিষ্টি স্বাদ, কোমল গঠন ও চমৎকার গন্ধের জন্য সবার প্রিয়। এটি মূলত গ্রীষ্মের শুরুতে পাওয়া যায় এবং প্রাকৃতিকভাবে পাকানো হলে এর স্বাদ হয়ে ওঠে আরও অনন্য।

কেনো বাজারের আম পরিহার করে সরাসরি বাগানের আম সংগ্রহ করবেন?

বাজারের আম:
১/ বাজারের আমে ক্যামিকেল দিয়ে কালার আনা হয়, যাতে দেখতে সুন্দর লাগে, বিক্রি বেশি হয় বা দ্রুত বিক্রি হয়
২/ বাজারের আমে ফর্মালিন দেয়া হয়, যাতে বিক্রি না হলেও পাকা আম না পঁচে (স্বাধারণত ফর্মালিন ছাড়া আম পাকার ২দিন পর থেকে আমের চামরা পঁচতে শুরু করে)
৩/ বাজারের আমে কার্ভাইড দেয়া থাকে, যেনো পাকলে পোকা না হয়
৪/ বাজারের আমে ইথিলিন দেয়া হয়, যেনো রাতারাতি পেকে যায়, কেননা গ্রাহক স্বাধারণত বাজার থেকে পাকা আমটাই কিনে!
৫/ এতো প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক ক্যামিক্যাল দেয়া আম মানব দেহের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা একটু কল্পনা করুন!

বাগানের আম:
১/বাগানের আম পরিপক্ব অবস্থায় সরাসরি গ্রাহকের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয় হয়
২/ বাগানের আমে ন্যাচারাল কালার থাকে, বাসায় রেখে পাকিয়ে খাওয়ার দারুণ অভিজ্ঞতা নেয়া যায়। তাই ক্যামিকেল দিয়ে কালার আনারও কোনো প্রয়োজনিয়তা নেই।
৩/ সরাসরি বাগানের আম গ্রাহকের হাতে পৌছে দেয়ার কারণে বেশি দিন ভালো রাখার কোনো রিক্স নেই। তাই ফরমালিন দেয়ার কোনো প্রশ্নই নেই।
৪/ বাগানের আম পাকিয়ে গ্রাহকের ঠিকানায় পাঠানো হয় না, কারণ পাকা আম গ্রাহকের ঠিকানায় নিরাপদ বা অক্ষত অবস্থায় পৌছানো সম্ভব না। দুএকটা পাকা আম থাকলেও তা বাছাই পর্বে বাদ দেয়া হয়। তাই আম রাতারাতি পাকানোর জন্য কোনো ইথিলিন দেয়া প্রশ্নই উঠে না।
৫/ সরাসরি বাগানের আস সংগ্রহ করলে সকল ধরণের ক্ষতিকর ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থেকে পরিবার নিয়ে নিরাপদ আম খাওয়ার স্বর্গীয় উপভোগ করা যায়।